ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় করোনায়, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগে ১০ হাজার দুস্থ-অসহায় পরিবারকে ত্রাণ

Post Image

বিশেষ প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলামঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় করোনার প্রভাবে কর্মহীনদের মাঝে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগে ১০হাজার দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ চলছে।

জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব দুস্থদের খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে এলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে এম খালিদ এম পি। ইতিমধ্যে কর্মহীন হয়েপড়াদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। মুক্তাগাছা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের ১৫০টি করে ১৩৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ৩ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শুরু করা হয় বিতরণ করা হয়। ১০ এপ্রিল শুক্রবার ২য়বারের মতো ১৩৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে ৬৫০টি পরিবার হিসেবে ১০টি ইউনিয়নে ৬৬৫০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ কাজ চলছে।  

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন-মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তাগাছা পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আরব আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হুমি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মণি,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের শহরের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সুমনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতায় ছিলেন মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম। 
এসময় প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ. ১টি সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানান, মুক্তাগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী দুই একদিনের মধ্যেই তালিকা ভুক্ত গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, যতদিন না করোনা ভাইরাসের প্রভাব থাকবে ততদিন ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম চলমান থাকবে-ইনশাআল্লাহ। ধারাবাহিক ভাবে সকল অসহায় পরিবারের মাঝেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।